Pages

জেনে নিন অটিজম বা সেরিব্রাল পলসি শিশু ব্রেইন রোগ কি!

আমাদের সমাজে এখনো অটিজম বা সেরিব্রাল পলসি এই দু' শিশু ব্রেইন রোগ নিয়ে জন্ম নেওয়ার জন্য মা কিংবা বাবা কে অথবা পরিবারের কারো অতীতের কোন পাপ কাজকে দায়ী করা হয়। শিক্ষিত পরিবারের অনেকেই আছেন যারা অটিস্টিক বেবী বা সি পি বেবী নিয়ে কিছুটা হীনমন্যতায় ভোগেন। কিন্তু তা কি ঠিক। মোটেই না। কিডনি, লিভার কিংবা রক্তের বিভিন্ন রোগের মতো এটাও এক ধরনের রোগ। তবে এটা যেহেতু ব্রেইনের রোগ তাই এ রোগে চলা ফেরা কথা বার্তা ও আচার আচরনে লক্ষন প্রকাশিত হয়। কারন এ সকল কাজের নিয়ন্ত্রক হলো আমাদের ব্রেইন।

অনেকে অভিভাবক বা চিকিৎসক অটিজম ও সেরিব্রাল পলসি কে এক করে গুলিয়ে ফেলেন। দুটো সম্পুর্ন আলাদা। অটিস্টিক বেবির চলাফেরা থাকে স্বাভাবিক কিন্তু সমস্যা হয় আচার আচরণ ও কথাবার্তায়, আর সি পি বেবীর মুল সমস্যা হয় চলাফেরায়। কথা বার্তা, আচার আচরণেও কিছু সমস্যা থেকে থাকে।
অটিজমের যেমন অনেক প্রকার ভেদ আছে তেমনি সি পি'র ও অনেক প্রকার ভেদ আছে। অটিজম বা সি পি মানেই ভবিষ্যৎ কষ্টের তা কিন্তু নয়। এই রোগ গুলো নিয়ন্ত্রনে রেখে লাইফ মেনটেইন করা কোন সমস্যাই না। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় জ্ঞান বিজ্ঞানে পৃথিবী পাল্টে দেয়া সেরা ব্যক্তিগন যেমন স্যার নিউটন, আইনস্টাইন, লিওনার্দো দা ভিঞ্চি, আর্কিমিডিস, ভন গেগ, জুলিয়াস সিজার, স্টিফেন্স হকিন্স এরা অনেকেই অটিস্টিক, সি পি কিংবা নিউরো ডিভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডার এর রোগি ছিলেন। তাই এই রোগী দের হেলা করবেন না। ইউরোপ আমেরিকায় এই রোগী দের ব্যাপারে অত্যন্ত যত্ন নেওয়া হয়, তাই তারা আজো জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত। 

এ রোগের মুল কারন এখনো অজানা। তবে জেনেটিক, এনভায়রনমেন্টাল কিছু ফ্যাক্টর, রেডিয়েশন, গর্ভাবস্থায় মায়ের অপুষ্টি, রোগ বালাই ও প্রসব জটিলতায় ব্রেইনে আঘাত বা অক্সিজেনের ঘাটতি ইত্যাদির জন্য ও এই রোগ হতে পারে।
এম বি বি এস ( ডি এম সি), এম ফিল (নিউরো -সাইকিয়াট্রি)
কনসালটেন্ট নিউরো -সাইকিয়াট্রিস্ট।
বিঃদ্রঃ আমাদের পোষ্ট গুলো যদি আপনার ভাল লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। তাহলে আর ভাল পোষ্ট নিয়ে হাজির হব।

জেনে নিন মাথা ব্যথা নিয়ে রোগীদের মাথাব্যথার শেষ নাই।

মাথা ব্যথা নিয়ে রোগীদের মাথাব্যথার শেষ নাই। একটু মাথা ব্যথা হলেই রোগীরা ভাবেন এই বুঝি প্রেসার গেলো বেড়ে। চেম্বারে এসেই হাত বাড়িয়ে দেন, আগে প্রেসার মাপেন। মাথা ব্যথার শতাধিক কারন গুলোর মধ্যে "ব্লাড প্রেসার হঠাৎ বেড়ে যাওয়া" অনেক পরের দিকে। ব্লাড প্রেসার হাই হলে মাথা ব্যথা হয় তবে হাই ব্লাড প্রেসারের সবচেয়ে নটরিয়াস দিক হলো, এটা প্রায়ই সিমটম লেস থেকে আপনার চুড়ান্ত ক্ষতি টি করে (ব্রেইন স্ট্রোক) যদি না আপনি আপনার কাছের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক ওষুধ বা লাইফ স্টাইল এর মাধ্যমে আপনার এই হাই ব্লাড প্রেসার টিকে কে কন্ট্রোল রাখেন।
তবে জরুরী কথা হলো হঠাৎ করে তীব্র মাথা ব্যথা মেডিকেলের ভাষায় যাকে বলে "থান্ডারকাল্প" যা অল্প সময়ে, অর্থাৎ উইথিন মিনিট থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যায় এবং যা ঐ অবস্থাতেই কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়, তাহলে অবশ্যই অবশ্যই আপনি দেরী না একজন বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হবেন। কারন থান্ডারকাল্প হয় সাধারণত ব্রেইনে রক্ত ক্ষরন (সাব এরাকনয়েড/ সাবডোরাল হেমারেজ, রাপচার ভেইন/আর্টারী/এনিউরিজম) বা ব্লক বা গুরুতর অন্য কোন কারন থেকে।
সুত্রঃ আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন
এম বি বি এস ( ডি এম সি), এম ফিল (নিউরো -সাইকিয়াট্রি)
কনসালটেন্ট নিউরো -সাইকিয়াট্রিস্ট।
বিঃদ্রঃ আমাদের পোষ্ট গুলো যদি আপনার ভাল লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। তাহলে আর ভাল পোষ্ট নিয়ে হাজির হব।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী যেখানে রাজাকার!

আচ্ছা কাদেরিয়া বাহিনীর বাঘা সিদ্দিকীর নাম শুনেছেন? অনেক বড় একজন "রাজাকার" ছিল! সম্প্রতি তিনি কি বলেছেন শুনুন,
কাদের সিদ্দিকী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকার সাম্প্রতিক একটি বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বলেন, ভারতের একজন মন্ত্রী সেদিন বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীন করে আওয়ামী লীগের হাতে তুলে দিয়ে গেছেন ঔদ্ধত্যের একটা সীমা আছেব্রিটিশ চলে যাওয়ার পর ভারত যুদ্ধ করেছে পাকিস্তানের সঙ্গে কিন্তু তাদের কোনো যুদ্ধে বিজয়ের নিশানা নেই তারা বিজয়ী হয়নি তাই বলে কি পাকিস্তান জয়ী হয়েছে? আমি বলব, পাকিস্তানও জয়ী হয়নি, সিজ ফায়ার হয়েছে রেফারি বাঁশি বাজিয়ে খেলা বন্ধ করেছে
বীর উত্তম খেতাব পাওয়া কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ না হলে, আমাদের রক্ত আমরা না ঢাললে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ভারতের যে উন্নতি হয়েছে, আন্তর্জাতিকভাবে যে সম্মান হয়েছে, তার ১০০ ভাগের ১০ ভাগও হতো না ভারত যদি আগামী ১০০ বছর আমাদের ১৬ কোটি বাঙালির পা ধুয়ে ধুয়ে পানি খায়, তবু ঋণ শোধ হবে না’ ‘ভারতের আজকের এই অগ্রগতি-উন্নতির চাবিকাঠি হচ্ছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ না হলে ভারতের অবস্থান পৃথিবীর দরবারে হতো না পাকিস্তান না হলে আমরা বাংলাদেশ হতাম না ঠিক তেমনি মুক্তিযুদ্ধ না হলে বাংলাদেশ হতো না আর তা না হলে ভারতের আজকে পৃথিবীর কাছে এত উন্নতি দেখানোর কোনো সুযোগ হতো না সুত্রঃ(http://adfoc.us/16018360870676)

গত কয়েকদিন আগে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকার এই বক্তব্য দেয়ার পর আমি আশা করেছিলাম আমাদের সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম এর তীব্র প্রতিবাদ করবে সেই সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সকল লোক এবং সরকার! পোস্ট দিয়েছিলাম এই বিষয়ে সুত্রঃ (http://adfoc.us/16018360871678)

কিন্তু কাদের সিদ্দিকি ছাড়া আর কারো প্রতিবাদ দেখলাম না তবে বঙ্গবীরের কথায় আমার পোস্টের লিখার মিল পেলাম অর্থাৎ ভারত হলো চোরের গুস্টি, তাই চোরের (ভারত) মার বড় গলা, আরো খুঁজে দুধ কলা একজন "বীর প্রতীক" পাওয়া মুক্তিযোদ্ধা যখন এই কথা বলে তখন বুঝতে হবে ভারতের সবই ছিল শুভঙ্করের ফাঁকিভাবছিলাম কাদের সিদ্দিকিকে যারা "রাজাকার" উপাধি দিয়েছিল সেই সব "প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা" কোথায়?
ধন্যবাদ বঙ্গবীর! ধন্যবাদ সবাইকে!
Bengal Tiger
বিঃদ্রঃ আমাদের পোষ্ট গুলো যদি আপনার ভাল লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন তাহলে আর ভাল পোষ্ট নিয়ে হাজির হব

ইংল্যান্ড তার অধীনস্থ গোলামকেই গালি দেয়!

ইংল্যান্ড বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের গালি দিয়েছে, শুধু গালি দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি তারা দাবি করছে যেন বাংলাদেশী ক্রিকেটাররা ইংল্যান্ডের নিকটসরিবলে ক্ষমা চায় (http://adfoc.us/16018360688716) অনেক বাংলাদেশীই এতে ইংল্যান্ডকে দোষারোপ করছে, কিন্তু আমি ইংল্যান্ডের কোন দোষ এতে খুঁজে পাইনি

কারণ মানুষের একটি চিরাচরিত স্বভাব হলো, সে তার অধীনস্থ গোলামকে গালি দেয় এইগোলামহওয়াটা আসলে টাকা-পয়সার উপর নির্ভর করে না, বরং আচরণের উপর নির্ভর করে খবরে প্রকাশিত হয়েছিল, এই ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের যে পরিমাণনিরাপত্তাদেয়া হয়েছিল, তা নাকি খোদ প্রধানমন্ত্রীকেও দেয়া হয় না বাংলাদেশের এই বাড়াবাড়ি তোয়াজের ফলশ্রুতিতেই এদেশের ক্রিকেটারদের অপমান করেছে ইংলিশরা এবং এটাই হওয়া উচিত ছিল
এর সাথে তুলনা দেয়া যায় কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রীকে এক হিন্দু কর্তৃককুত্তার বাচ্চাবলে গালি দেয়ার সাথে (http://adfoc.us/16018360870633)
এটাই স্বাভাবিক, কারণ সরকারের কর্মকাণ্ডে হিন্দুরা বুঝছে যে সরকার তাদের গোলাম হয়ে গিয়েছে উদাহরণস্বরূপ বহু ঘটনারই উল্লেখ করা যায়-

) সিলেটের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, যার নামে রয়েছে রিকশার নম্বর প্লেট জালিয়াতি করে কোটি কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ এই সুব্রত চক্রবর্তীর অধীনে সিলেটের রাজাকারের যে লিস্ট তৈরী করা হয়েছে, তাতে সে অর্থমন্ত্রী মাল মুহিতের বাবা স্থানীয় এমপি মাহমুদ উস সামাদ কয়েস চৌধুরীর বাবার নামও ঢুকিয়ে দিয়েছে। এরকম গর্হিত কাজ সে কী করে করল, এই প্রশ্ন করাতে সে উত্তর দিয়েছিল, “ইতিহাসকে তো আমি চেঞ্জ করতে পারব না” (http://adfoc.us/16018360870653) নিজে গ্রেফতারি পরোয়ানাপ্রাপ্ত জালিয়াত হয়ে মন্ত্রীর বাবার নাম রাজাকারের লিস্টে তুলে দেয়ার পরও এই সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েলকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করেনি লীগ সরকার

) চট্টগ্রামের বাহির সিগন্যাল এলাকায়মুক্তিযোদ্ধাদের আস্তানা জ্বালিয়ে দাওস্লোগান যারা দিয়েছিল, তারা উঠতি বয়সী কিছু হিন্দু ছোকরা মাত্র এদেরকে পাড়ার স্থানীয় বখাটে ছেলেপেলের চেয়ে বেশি কিছু মনে করার উপায় নেই অথচ তাদের একজনকেও কি গ্রেফতারের সম্মুখীন হতে হয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী স্লোগান দেয়ার জন্য?

এসব কারণে হিন্দুদের মনে দৃঢ় ধারণা হয়েছে যে, সরকার তাদের গোলাম এবং মনিব হিসেবে তারা গোলামকেকুত্তার বাচ্চাবলে গালি দিতেই পারে আর হিন্দুরা যদি এদেশের নাগরিক হয়েওকুত্তার বাচ্চাবলে প্রধামমন্ত্রীকে গালি দিতে পারে, সেক্ষেত্রে ইংলিশরা কেন বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কাছেসরিবলার দাবি জানাতে পারবে না?

গত কয়েক বছরে আমাদের দেশের ব্যাংকের রেমিটেন্স বেড়েছে, কিন্তু জাতীয় সম্মানের রেমিটেন্স কিছুই অবশিষ্ট রাখা হয়নি ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতেসবার সাথে বন্ধুত্বস্লোগানের আড়ালে আসলেসবার সাথে গোলামি নীতিই গ্রহণ করেছে বর্তমান সরকার, যে গোলামি ফুটপাতের হিন্দু মুচিটা থেকে শুরু করে সাদা চামড়াদের বুট পর্যন্ত বিস্তৃত
Bengal Tiger
বিঃদ্রঃ আমাদের পোষ্ট গুলো যদি আপনার ভাল লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন তাহলে আর ভাল পোষ্ট নিয়ে হাজির হব

জেনে নিন ব্রিটিশরা আসলে কতটুকু সভ্য জাতি? -১

প্রথমেই বলে রাখি, বাংলাভাষায় ‘ব্রিটিশ’ বলে একটা গালি আছে। ‘শালা তুই একটা ব্রিটিশ’ এর মানে- তুই একটা চালবাজ, ধূর্ত। আমি এ স্ট্যাটাস লিখতে বসেছি, কারণ সম্প্রতি বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ২য় ক্রিকেট ম্যাচে ব্রিটেনের অভদ্র আচরণের পর অনেকেই কমেন্ট করছে- আচ্ছা, ব্রিটিশদেরকে তো সবচেয়ে সভ্য জাতি হিসেবেই জানতাম, তারা এমন আচারণ করলো কিভাবে?

যারা এ ধরনের অদ্ভূত কমেন্ট করেছেন, তাদের জানার জন্য বলছি, ব্রিটেনের অপর নাম হচ্ছে ‘Pirate Empire’ বা জলদস্যুদের সম্রাজ্য। ব্রিটেনের ম্যাপের দিকে তাকান, দেখবেন ইউরোপ থেকে বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপ। এই ব্রিটেন নামক দ্বীপটি হচ্ছে জলদস্যুদের স্বরর্গরাজ্য, যারা সমুদ্রে বণিকদের জাহাজগুলোকে লুটপাট করে তাদের ভূমিতে জমা করতো।
আসলে আমার-আপনার কাছে জলদস্যুতা যেমন খারাপ জিনিস, ব্রিটিশদের কাছে জলদস্যুতা তেমন ভালো জিনিস। যেমন- অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ডে হচ্ছে ঐদিন, যেদিন ইউরোপ থেকে দাগী আসামী ভর্তি জাহাজ অস্ট্রেলিয়া নামক দ্বীপে প্রথম এসে পৌছেছিলো। আর বর্তমান অস্ট্রেলিয়ানরা হচ্ছে ঐ নির্বাসিত দাগী আসামীদের বংশধর। তাই ঐ দিনটি অস্ট্রেলিয়া খুব জাকজমকভাবে পালন করে, এটা তাদের জন্য লজ্জাজনক নয়। ঠিক তেমনি জলদস্যুতা ব্রিটিশ জাতির জন্য লজ্জাজনক নয়। বরং ব্রিটেনকে আজকে এই অবস্থায় আনার জন্য ঐ সকল জলদস্যুদের লুটপাটের অবদান আছে। তাই বড় বড় জলদস্যুরা হচ্ছে তাদের জাতির বড় বীর সন্তান।

যেমন- Sir Francis Drake (বৃটিশ রাজবাহীনির নৌসেনাপতি), Sir Walter Raleigh (জামাইকার ডেপুটি গভর্নর, “নাইটহুড” উপাধিপ্রাপ্ত), Sir John Hawkins, Sir Humphrey Gilbert and Sir Richard Grenville এরা প্রত্যেকেই কুখ্যাত জলদস্যু।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে যেখানে মুসলমানরা ব্যবসা-বাণিজ্যকে বৈধ করেছিলো, সেখানে ব্রিটেন দেড়-দুইশ’ বছর কথিত রয়েল ফ্যামিলির পক্ষ থেকেই রাষ্ট্রীয়ভাবে বৈধ (!) উপায়েই জলদস্যুতা করতো। মূলতঃ ব্রিটিশদের কাজ ছিলো দুটো- এক- সমুদ্রে জলদস্যুতা করা, দুই-আফ্রিকা থেকে কালো মানুষদের এনে দাস হিসেবে বিক্রি করা।

উল্লেখ্য আমরা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নামক যে ব্রিটিশ কোম্পানির নাম শুনি, যারা এ উপমহাদেশকে ২০০ বছর পরাধীন করা র জন্য দায়ি, তারও পুরো নেতৃত্বই গঠন হয়েছিলো জলদস্যু বাহিনী দিয়ে।
আরো উল্লেখ্য, গত কয়েকবছর যাবত হলিউডে ‘Pirates of the Caribbean’ নামক একটি ধারাবাহিক সিনেমা বের হয়, যেখানে ব্রিটিশ জলদস্যুদের জীবন কাহিনী পাবেন। (চলবে)
Bengal Tiger
বিঃদ্রঃ আমাদের পোষ্ট গুলো যদি আপনার ভাল লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন তাহলে আর ভাল পোষ্ট নিয়ে হাজির হব