ইংল্যান্ড বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের গালি দিয়েছে, শুধু
গালি দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি
তারা দাবি করছে যেন
বাংলাদেশী ক্রিকেটাররা ইংল্যান্ডের নিকট ‘সরি’ বলে
ক্ষমা চায়। (http://adfoc.us/16018360688716) অনেক বাংলাদেশীই এতে
ইংল্যান্ডকে দোষারোপ করছে, কিন্তু আমি
ইংল্যান্ডের কোন দোষ এতে
খুঁজে পাইনি।
কারণ মানুষের একটি
চিরাচরিত স্বভাব হলো, সে
তার অধীনস্থ গোলামকে গালি দেয়।
এই ‘গোলাম’ হওয়াটা আসলে
টাকা-পয়সার উপর নির্ভর
করে না, বরং আচরণের
উপর নির্ভর করে।
খবরে প্রকাশিত হয়েছিল, এই ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের
যে পরিমাণ ‘নিরাপত্তা’ দেয়া হয়েছিল, তা
নাকি খোদ প্রধানমন্ত্রীকেও দেয়া
হয় না। বাংলাদেশের
এই বাড়াবাড়ি তোয়াজের ফলশ্রুতিতেই এদেশের ক্রিকেটারদের অপমান
করেছে ইংলিশরা এবং এটাই হওয়া
উচিত ছিল।
এর সাথে তুলনা
দেয়া যায় কয়েকদিন আগে
প্রধানমন্ত্রীকে এক হিন্দু কর্তৃক
‘কুত্তার বাচ্চা’ বলে গালি দেয়ার
সাথে। (http://adfoc.us/16018360870633)
এটাই স্বাভাবিক, কারণ
সরকারের কর্মকাণ্ডে হিন্দুরা বুঝছে যে সরকার
তাদের গোলাম হয়ে গিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ
বহু ঘটনারই উল্লেখ করা
যায়-
১) সিলেটের ভুয়া
মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল,
যার নামে রয়েছে রিকশার
নম্বর প্লেট জালিয়াতি করে
কোটি কোটি টাকা লোপাটের
অভিযোগ। এই
সুব্রত চক্রবর্তীর অধীনে সিলেটের রাজাকারের
যে লিস্ট তৈরী করা
হয়েছে, তাতে সে অর্থমন্ত্রী
মাল মুহিতের বাবা ও স্থানীয়
এমপি মাহমুদ উস সামাদ
কয়েস চৌধুরীর বাবার নামও ঢুকিয়ে
দিয়েছে। এরকম গর্হিত কাজ
সে কী করে করল,
এই প্রশ্ন করাতে সে
উত্তর দিয়েছিল, “ইতিহাসকে তো আমি চেঞ্জ
করতে পারব না।”
(http://adfoc.us/16018360870653) নিজে
গ্রেফতারি পরোয়ানাপ্রাপ্ত জালিয়াত হয়ে মন্ত্রীর বাবার
নাম রাজাকারের লিস্টে তুলে দেয়ার
পরও এই সুব্রত চক্রবর্তী
জুয়েলকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার
করেনি লীগ সরকার।
২) চট্টগ্রামের বাহির
সিগন্যাল এলাকায় ‘মুক্তিযোদ্ধাদের আস্তানা জ্বালিয়ে দাও’ স্লোগান যারা
দিয়েছিল, তারা উঠতি বয়সী
কিছু হিন্দু ছোকরা মাত্র। এদেরকে
পাড়ার স্থানীয় বখাটে ছেলেপেলের চেয়ে
বেশি কিছু মনে করার
উপায় নেই। অথচ
তাদের একজনকেও কি গ্রেফতারের সম্মুখীন
হতে হয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী স্লোগান
দেয়ার জন্য?
এসব কারণে হিন্দুদের
মনে দৃঢ় ধারণা হয়েছে
যে, সরকার তাদের গোলাম
এবং মনিব হিসেবে তারা
গোলামকে ‘কুত্তার বাচ্চা’ বলে গালি দিতেই
পারে। আর
হিন্দুরা যদি এদেশের নাগরিক
হয়েও ‘কুত্তার বাচ্চা’ বলে প্রধামমন্ত্রীকে গালি
দিতে পারে, সেক্ষেত্রে ইংলিশরা
কেন বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কাছে ‘সরি’ বলার
দাবি জানাতে পারবে না?
গত কয়েক বছরে আমাদের
দেশের ব্যাংকের রেমিটেন্স বেড়েছে, কিন্তু জাতীয় সম্মানের
রেমিটেন্স কিছুই অবশিষ্ট রাখা
হয়নি। ক্ষমতা
টিকিয়ে রাখতে ‘সবার সাথে
বন্ধুত্ব’ স্লোগানের আড়ালে আসলে ‘সবার
সাথে গোলামি’র নীতিই
গ্রহণ করেছে বর্তমান সরকার,
যে গোলামি ফুটপাতের হিন্দু
মুচিটা থেকে শুরু করে
সাদা চামড়াদের বুট পর্যন্ত বিস্তৃত।
Bengal Tiger
বিঃদ্রঃ আমাদের পোষ্ট গুলো যদি আপনার ভাল লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। তাহলে আর ভাল পোষ্ট নিয়ে হাজির হব।