মোটাতাজা পশু কিনে শুধু কোরবানি করাই শেষ নয় গোশত বণ্টন ও নিজের খাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট অংশ রাখার বিষয়ে নজর দেয়াও জরুরি। কোরবানির গোশত কীভাবে বণ্টন করবেন, নিজের খাওয়ার জন্য কতোদিন জমিয়ে রাখা যায় – এ প্রসঙ্গে কিছু বিধান জেনে নিন।
কোরবানির গোশত জমিয়ে রাখা:
কোরবানির গোশত তিন দিনেরও বেশি সময় জমিয়ে রেখে খাওয়া জায়েয।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৪, সহীহ মুসলিম ২/১৫৯, মুয়াত্তা মালেক ১/৩১৮, ইলাউস সুনান ১৭/২৭০
কোরবানির গোশত বণ্টন:
শরীকে কোরবানি করলে ওজন করে গোশত বণ্টন করতে হবে। অনুমান করে ভাগ করা জায়েয নয়।-আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৭, কাযীখান ৩/৩৫১
কোরবানির গোশতের এক তৃতীয়াংশ গরীব-মিসকিনকে এবং এক তৃতীয়াংশ আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীকে দেয়া উত্তম। অবশ্য পুরো গোশত যদি নিজে রেখে দেয় তাতেও কোনো অসুবিধা নেই। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৪, আলমগীরী ৫/৩০০
গোশত, চর্বি বিক্রি করা:
কোরবানির গোশত, চর্বি ইত্যাদি বিক্রি করা জায়েয নয়। বিক্রি করলে পূর্ণ মূল্য সদকা করে দিতে হবে। -ইলাউস সুনান ১৭/২৫৯, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৫, কাযীখান ৩/৩৫৪, ফাতওয়ায়ে আলমগীরী ৫/৩০১
জবাইকারীকে চামড়া, গোশত দেয়া:
জবাইকারী, কসাই বা কাজে সহযোগিতাকারীকে চামড়া, গোশত বা কোরবানির পশুর কোনো কিছু পারিশ্রমিক হিসেবে দেয়া জায়েয হবে না। অবশ্য পূর্ণ পারিশ্রমিক দেয়ার পর পূর্বচুক্তি ছাড়া হাদিয়া হিসেবে গোশত বা রান্না তরকারি দেয়া যাবে।
কোরবানির গোশত বিধর্মীকে দেয়া:
কোরবানির গোশত হিন্দু ও অন্য ধর্মাবলম্বীকে দেয়া জায়েয।-ইলাউস সুনান ৭/২৮৩, ফাতাওয়া হিন্দিয়া।
সংগৃহীত