Pages

নির্দিষ্ট স্থানে কুরবানী হলে, নির্দিষ্ট মন্দিরে পূজা হবে না কেন?

প্রতিবছর কুরবানী আসলেই সরকারি মহলে ঘাপটি মেরে থাকা ইসলামবিদ্বেষী মহলটির কুরবানীবিরোধী তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। প্রথমেই পদক্ষেপ নেয়া হয় গরুর হাটের বিরুদ্ধে, হাটগুলোকে সরিয়ে শহরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাছাড়া পশু জবাইয়ের স্থান নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়। 

আজকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, শুধু ঢাকা শহরে নয়, বরং ঢাকার বাইরেও ‘নির্দিষ্ট স্থানে’ পশু কুরবানী করতে হবে। (http://goo.gl/e9XN7S) প্রচারণাগুলো এমনভাবে করা হয়, যেন কুরবানী একটি খারাপ জিনিস। সবজায়গায় তাই কুরবানী করা যেতে পারে না, সেটি করতে হবে নির্দিষ্ট স্থানে। কিন্তু পূজা মণ্ডপের ক্ষেত্রে কিন্তু এমনটি হয় না। বরং মণ্ডপে যেন লোকসমাগম বেশি হয়, সে জন্য সরকারি ভার্সিটিগুলোর ছেলেদের হলে মেয়েদের প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
গত ২০১৪ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজার দিন এক ছাত্র ঢাবির শামসুন্নাহার হলে রাতে অবস্থান করে। পূজা উপলক্ষে ছাত্রী হলগুলোতে প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এ সুযোগে ওই ছাত্র হলে প্রবেশ করে। হলের পুরাতন ভবনের ৫০০৪ নম্বর কক্ষে ছেলেটি তার প্রেমিকার সাথে রাত কাটায়। (সূত্র: মানবজমিন http://goo.gl/tTJthp)

সরস্বতী কিংবা দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে ঢাকা ভার্সিটির হলগুলো রীতিমতো পতিতালয়ে পরিণত হয়, কিন্তু তারপরও কেউ তো বলে না, পূজা নির্দিষ্ট মন্দিরে করতে হবে। হলের মধ্যে মণ্ডপ বানিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না। সেখানে কুরবানীর জবাই নির্দিষ্ট স্থানে করতে এতোটা চুলকানি কেন সরকারের? 

বরং পূজাই তো নির্দিষ্ট স্থানে হওয়া উচিত। কারণ পূজায় মদ ও পতিতা ছাড়া হিন্দুদের হয় না। সামাজিকতার স্বার্থে এই পূজা মণ্ডপগুলো এমন প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরিয়ে নেয়া উচিত, যেখানে ভদ্রলোকেরা সাধারণত আসা-যাওয়া করে না।