অনেকদিন পর কাবুলীওয়ালাদের কথা মনে পড়লো। রবীন্দ্রনাথের কাবুলীওয়ালা গল্পে আবদুর রহমান ছিল একজন মানবিক গুণ সম্পন্ন মানুষ। মিনি বা খুকুর জন্যে আবদুর রহমানের স্নেহ মমতা গল্পটিকে কালজয়ী করে তুলেছে।বাংলাদেশের স্বাধীনতার পুর্বে তত্কানলীন পুর্ব পাকিস্তানে কয়েক হাজার কাবুলী টাকার ব্যবসা করতো। মাসিক সুদে টাকা লগ্নি বা ধার দিতো। মাস শেষে বাড়ি বাড়ি বা দোকানে গিয়ে সুদ আদায় করতো। কাবুলীওয়ালারা তেমন বিত্তবান ছিলনা। সামান্য পুঁজি নিয়ে টাকার ব্যবসা করতো। কাবুলীওয়ালাদের কাছ থেকে টাকা ধার নেওয়াটা সমাজ ভাল চোখে দেখতো না। কাবুলীওয়ালাদের আগমনের পূর্বে হিন্দু মহাজনরা স্বর্ণ বন্দক রেখে টাকা ধার দিতো সুদের ভিত্তিতে। শুনেছি এ ব্যবস্থা নাকি এখনও জারী আছে। এ মহাজনদের পোদ্দার বলা হয়। জমি বন্ধক রেখে টাকা ধার দেওয়ার ব্যবস্থা এক সময় ব্যাপক ছিল। হয়ত এখনও আছে। তবে বড় বড় আড়ত বা পাইকারী বাজার গুলোতে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয় সুদের ভিত্তিতে। শিক্ষিত ভদ্রলোকেরা বলেন ইনফরমাল লেন্ডিং মার্কেট। এখানে প্রতি লাখে মাসে তিন চার হাজার টাকা মুনাফা দেয়া হয়।বহু শিক্ষিত ভদ্রলোক এ বাজারে টাকা খাটান সংসার চালাবার জন্যে। এ বাজারে বিশ্বাসই হলো সিকিউরিটি। সরকারী অনুমোদন নিয়ে শ’খানেক টাকা লগ্নি প্রতিষ্ঠান বাজারে রয়েছে। এদের নিয়ন্ত্রণ করে বাংলাদেশ ব্যান্ক। আর বাংলাদেশ ব্যান্ককে নিয়ন্ত্রণ করে সরকার ।
রাজনৈতিক কারণে বহু আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্ম হয়েছে। বাংলাদেশে সাংবিধানিক ভাবেই শাসকগণ রাজা বা রাণীর ক্ষমতা ভোগ করেন। কিন্তু বলা হয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। সংসদের কিছু বেশী সদস্যের অন্ধ সমর্থনে রাজা বা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এসব হচ্ছে গণতন্ত্রের লেবাস বা মুখোশ। ফলে ইচ্ছা না থাকলেও জার সম্রাট বা মোঘল বাদশাহদের মতো ক্ষমতা ব্যবহারের সুযোগ পান এদেশের প্রধানমন্ত্রীরা। দেশে এত গুলো ব্যান্ক বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্ম হয়েছে সে কারণে। একবার অর্থমন্ত্রী বলেছেন রাজনৈতিক কারণে কিছু ব্যান্কের অনুমতি দিতে হয়েছে। এমন কি ব্যক্তির নামে বা ব্যক্তিকে কেন্দ্র করেও এসব প্রতিষ্ঠানের অনুমতি দেয়া হয়েছে। কারণ সে ব্যক্তি রাজনীতি করেন। এমন কি সারা জীবন আমলা হয়ে জনগণের হালুয়া রুটি খেয়েছেন। অবসরে যাওয়ার পর রাজনৈতিক দলে ঢুকে পড়েছেন। উদ্দেশ্য আজীবন মানুষের হক দখল করে ভোগ করা। এ হালুয়া রুটি বন্টনের এমাত্র অধিকারী হলেন দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদটি। ১৯৮৩ সালে একটি ব্যান্ক প্রতিষ্ঠা করতে লাগতো তিন কোটি টাকা। যাঁরা প্রতিষ্ঠা করেছেন তাঁরা এখন অনেকেই হাজার কোটি টাকার মালিক। এখন একটি ব্যান্ক প্রতিষ্ঠা করতে লাগে চারশ’কোটি টাকা। ৮৩ সালে একজন উদ্যোক্তাকে পাঁচ দশ লাখ জোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হয়েছে। এখন তাঁরা একাই চারশ’ কোটি টাকা দিয়ে ব্যান্ক প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। রাজনৈতিক অনুগ্রহ ভোগী ব্যক্তি যে কোন ধরনের লাভ জনক প্রতিষ্ঠানের অনুমতি সংগ্রহ করেন এবং তা বেচে দিয়ে রাতারাতি ধনী হয়ে যান। একথা সবাই জানেন, এত ব্যান্ক বীমার দেশের কোন প্রয়োজন নেই,তবুও অনুমতি দেয়া হচ্ছে রাজনৈতিক দলকে শক্তিশালী করার জন্যে। ফলে ব্যান্কিং জগতে ব্যাপক দুর্ণীতি ছড়িয়ে পড়েছে। দলীয় ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ব্যান্কের হাজার হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছে এবং মেরে দিচ্ছে। এসব লুটেরাদের খুব কমই বিচারের সন্মুখীন হতে হয়।
এবারতো কেন্দ্রীয় ব্যান্ক মানে বাংলাদেশ ব্যান্কই লুট হয়ে গেলো ডিজিটাল জ্ঞানের মাধ্যমে। লুট নিয়ে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল উপদেষ্টা জয় সাহেব। তিনি আমেরিকায় থেকে প্রধানমন্ত্রীকে উপদেশ ও পরামর্শ দেন। তিনি বলেছেন, আইসিটিতে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। ফলে ডিজিটাল এক্সপার্ট বা বিশেষজ্ঞদের কুনজরে পড়ে গেছে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যান্ক লুট হয়ে গেছে। সেই টাকা দিয়ে ফিলিপিনের ক্যাসিনোতে জুয়ার উত্স্ব চলছে। ফিলিপিনের জুয়ার বাজারে আমারদের এনবিআর কোন হামলা করতে পারেনা। যদি পারতো তাহলে এখনি দুদক,এনবিআর রেব হামলে পড়তো।
বাংলাদেশ ব্যান্কের কেলেংকারী পীড়িত বিদায়ী গভর্ণর আতিউর রহমান সাহেব একজন জনপ্রিয় মানুষ। তিনি নিজের পোশাকের একটি ব্রান্ড তৈরি করেছেন। দেখলেই মনে হয় তিনি জনগণের লোক। গভর্ণর হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার পরেই তিনি জীবন বৃত্তান্ত প্রকাশ করে দেশবাসীকে জানান দিয়েছেন তিনি তাঁদেরই লোক,অতি সাধারন। এখন তিনি হত দরিদ্র কৃষকের প্রতিনিধি হিসাবে গভর্ণরের পদে আসীন আছেন। বাহবা বা হাততালি পাওয়ার জন্যে তিনি হুকুম দিয়েছেন মাত্র দশ টাকা দিয়ে ব্যান্ক গুলোতে কৃষকরা একাউন্ট খুলতে পারবেন। কিন্তু এ পর্যন্ত কত কৃষক দশ টাকার হিসাব খুলেছেন তা দেশবাসী জানেন না। অথবা কত কৃষক ব্যান্ক থেকে ঋণ পেয়েছেন বা ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে গরু বিক্রি করেছেন তার খবর আমরা জানিনা। এতদিন শুনেছি প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রীরা হাজার হাজার ওয়াদা করেন যা কখনই বাস্তবায়িত হয়না। এটা নাকি রাজনীতিতে রেওয়াজ। জনগণতো রাজধানীতে এসে মন্ত্রী সচীব বা প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে পারেন। মন্ত্রী সাহেবেরাই জনসভা করে জনতার সাথে দেখা করেন যেখানে প্রচুর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে।একশ’গজ দূরে নিরাপত্তা বেস্টনীর বাইরে থেকে মন্ত্রীদের অমিয় বাণী শোনেন নির্যাতিত গরীব জনতা। পুলিশ ছাড়াও জনগণকে পোষ মানিয়ে রাখেন স্থানীয় দলীয় ক্যাডারগণ। আতিউর রহমানের আগে অনেক গভর্ণর ছিলেন যাঁরা দেশের অর্থনীতিতে অনেক অবদান রেখেছেন। কিন্তু তাঁরা কেউই আতিউর সাহেবের মতো জনপ্রিয়তার কাংগাল ছিলেন না। ক’দিন আগে আপনারা সাবেক গভর্ণর নাজির আহমদের ইন্তিকালের খবর পেয়েছেন। ইনি ছিলেন একজন সর্বশ্রেষ্ঠ কেন্দ্রীয় ব্যাংকার। আমার মতে তিনিই ছিলেন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যান্কের শ্রেষ্ঠ গভর্ণর। কখনই সস্তা জনপ্রিয়তাকে গুরুত্ব দেননি। অন্যান্য গভর্ণরগণও জনপ্রিয়তাকে তেমন গুরুত্ব দেননি। কারণ বাংলাদেশ ব্যান্ক রাজনীতি বা জনপ্রিয়তার কোন জায়গা নয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর অতি প্রিয় মানুষ আতিউর রহমান। সে আতিউর সাহেবই শেষ পর্যন্ত ব্যান্ক লুটের কেলেংকারী মাথায় নিয়ে বিদায় নিলেন। জয় সাহেবের উচিত হবে এখন দেশে এসে টাকা লুটের কারিগরী ত্রুটি আবিষ্কার করা। এর আগে বৃদ্ধ অর্থমন্ত্রী বাণিজ্যিক ব্যান্ক থেকে লুট হওয়া টাকা নিয়ে বলেছিলেন হাজার কোটি কোন টাকাই নয়। আসলে বাংলাদেশ ব্যান্কের রিজার্ভের ডলার এসেছে শ্রমিকদের ঘামের বিনিময়ে। দেশের ভিতর পোষাক শ্রমিক ও বিদেশে কর্মরত শ্রমিকরাই রিজার্ভ বাড়িয়েছে। আর তা নিয়ে প্রধান মন্ত্রী নিজের জন্যে হাততালি কুড়াতেন। আতিউরের পতনের পর প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বীর হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। আতিউর প্রধানমন্ত্রীর খাস বা পেয়ারা মানুষ ছিলেন। ফলে তিনি কখনই অর্থমন্ত্রীকে পাত্তা দিতেন না। টাকা লুটের কথা তিনি নাকি দেড় মাসে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও এ ব্যাপারে চুপ ছিলেন। অপরদিকে বৃদ্ধ অর্থমন্ত্রী এ ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। নতুন গভর্ণর এলেন। তিনিও প্রধানমন্ত্রীর প্রিয় মানুষ। এই ভদ্রলোকেরও কেন্দ্রীয় বা দেশের অর্থনীতি বিষয়ে তেমন কোন আন্দাজ নেই। তবুও তিনি হয়েছেন। হয়ত এমনও হতে পারে তিনি অতি ধৈর্য ও দক্ষতার সাথে গোপন কথা গোপন রাখার চেষ্টা করবেন।
ব্যান্কের এমন অবস্থায় গভর্ণর সাহেব চলে গেলেন দিল্লীতে সেমিনারে কথা বলতে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, আতিউর কথা বলতে ভালবাসেন। তাই সুযোগ পেলেই বিদেশে চলে যেতেন। আর সুযোগ পেলেই বিদেশীদের অনুরোধ করতেন তাঁকে কথা বলার সুযোগ করে দেয়ার জন্যে। ইতোমধ্যেই তিনি নাকি এশিয়ার শ্রেষ্ঠ গভর্ণর হিসাবে খ্যাতি পেয়েছেন। অর্থমন্ত্রী প্রথম আলোতে সাক্ষাতকার দিয়ে আতিউরকে নিয়ে অনেক কথা বলে ফেলেছেন। সুযোগ পেয়ে কালো বিড়াল গল্পের নায়ক সুরঞ্জিত বাবু একচোট নিয়েছেন। তিনি বলেছেন অর্থমন্ত্রী টাকা লুটের কেলেংকারী থেকে নিজেকে আলাদা করতে পারেন না। তাঁরও দায়িত্ব আছে। সত্যিকার অর্থেই অর্থমন্ত্রী হয়ত রাজকোষের ব্যাপারে কোন খবর রাখতেন না বা আতিউর সাহেব তাঁকে জানাতেন না। কেন্দ্রীয় ব্যান্ক একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান এ কথা কেউ কখনও শুনেছেন বলে আমি জানিনা। এ ব্যাপারে অতীতে আমি লেখালেখি করেছি। আমার কলিগ বা সহকর্মীরা এ ব্যাপারে তেমন মাথা ঘামান না। বাংলাদেশ ব্যান্ক বছরে তিন হাজার কোটি টাকা লাভ করে বা কমিশন খেয়ে সষাগারে জমা সরকারী ভান্ডারে জমা দেয়। এতেই প্রধানমন্ত্রী খুবই খুশী থাকেন। প্রশ্ন হলো এমন মুনাফা বা কমিশন খাওয়ার প্রয়োজ আছে কিনা ? আমিতো মনে করি দরকার নেই। ভারতের রিজার্ভ ব্যান্ক বা পাকিস্তানের স্টেট ব্যান্ক বা পৃথিবীর কোন রিজার্ভ ব্যান্ক এভাবে কোন মুনাফা করেনা । সাধারন বাণিজ্যিক ব্যান্ক গুলো ও কাবুলীওয়ালদের মতো সুদ ও কমিশন খায়। কাবুলীওয়ালারা মাসিক এক বা দুই টাকা সুদ নিতো। কিন্তু কখনই গরীবের বা মধ্যবিত্তের বাড়ীঘর ক্রোক বা দখল করতো না। জমিদারী আমলে বাড়ি ঘর, গরু ছাগল, হাড়ি পাতিল ক্রােক করার আইন ছিল। প্রজাদের পক্ষে কোন আইন ছিলনা। এজন্যেই শেরেবাংলা প্রজাদের জন্যে ঋণ সালিশী বোর্ড গঠণ করে তাদের রক্ষা করেছিলেন। এর আগে আল্লাহর রাসুল(সা) গরীবদের সকল সুদ মওকুফ করে দিয়েছিলেন। আল্লাহপাক সুদকে হারাম (নিষিদ্ধ) ঘোষণা করেছেন। বাংলাদেশে আল্লাহর এই বিধি নিষেধ মানা হয়না। এদেশে একশ’ থেকে দেড়শ’ পারসেন্ট সুদ নেয়া হয়। সম্প্রতি জানতে পারলাম, বাণিজ্যিক বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ দিয়ে আগে সুদ আদায় করে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন একজন মানুষও এদেশে গৃহহীন থাকবেনা। আমরা এসব কথাকে রাজনৈতিক বাণী বলেই ধরে নেই। এসব হলো কথার কথা। রাজধানী ঢাকা নগরেই ৫০/৬০ লাখ মানুষ ফুটপাতে, রেল ষ্টেশন ও লঞ্চ ঘাটে থাকে। সারা রাজধানী ঘুরে দেখুন বস্তির অভাব নেই। এমন সময়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোন মানুষই গৃহহীন থাকবেনা। কই তিনিতো সাথে সাথেই বলতে পারতেন গৃহ ঋণের সুদের হার কখনই শতকরা পাঁচভাগের বেশী হবেনা। সারা বছর গৃহ ঋণ চলবে। তাহলেতো রাজধানীতে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের নাগরিকেরা বাড়ি তৈরি করতে পারতো। প্রেসিডেন্ট জিয়ার আমলে গৃহ ঋণের সুদ করা হয়েছিল মাত্র পাঁচ শতাংশ। সে সময়ে রাজধানীতে অনেক বাড়ি হয়েছিল।
পাকিস্তানের অর্থনৈতিক শোষণ থেকে মুক্তিলাভের জন্যেই ৭১এ বাংলাদেশের সাধারন মানুষ ও সেনাবাহিনী অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। পাকিস্তানতো তেইশ বছর শোষণ করেছে। তার আগে জমিদারেরা শোষণ করেছে। জানার জন্যে উইলিয়াম হান্টারের বই পড়ুন। স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও বাংলাদেশ দারিদ্র মুক্ত হয়নি। আট কোটি মানুষের খাদ্য বস্ত্র শিক্ষা ও চিকিত্সাবর ব্যবস্থা নেই। যে সকল রাজনীতিবিদ রিকশায় চলতেন তাঁরা এখন নিদেন পক্ষে পাজেরোতে চলেন। প্রধান রাজনৈতিক দল গুলোর নেতাদের প্রকাশ্য কোন আয় নেই। তাঁরা সকলেই মার্সিডিজে চলেন। সাথে সাথে দলদাস ও তাবেদার গণ শত শত কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। অপরদিকে গৃহহীন ও গরীব মানুষের সংখ্যা বেড়াই চলেছে। গরীবের শিক্ষিত ছেলে চাকুরী পায়না । চাকুরী হয় দলীয় ভিত্তিতে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কি জানেন, বাণিজ্যিক ব্যান্ক থেকে দশ লাখ টাকা গৃহ ঋণ নিলে শোধ করতে হয় ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা। বর্তমান ব্যাবস্থায় আগে সুদ আদায় করা হয়,পরে আসল আদায় করা হয়। যেমন ধরুন, দশ হাজার টাকার কিস্তিতে নয় হাজার টাকা সুদ আদায় করা হয়। ফলে ঋণ গ্রহীতা সারা জীবনেও ব্যান্ক ঋণ শোধ করতে পারেন না। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যান্ক যখন মুনাফার পেছনে দিনাতিপাত করে সেখানে বাণিজ্যিক ব্যান্ক গুলোর রাজনৈতিক মালিকেরা হাজার হাজার কোটি টাকা মেরে দিলেও কিছু আসে যায়না। লোকে বলে একটা ব্যান্কের মালিকানা হাতে থাকলেই একটা জমিদারী হাতে এসে যায়। এরপর শুধু প্রজাদের (গ্রাহকদের) শোষন করা।
February 2016,
এরশাদ মজুমদার, লেখক: কবি ও ঐতিহ্য গবেষক, ershadmz@gmail.com