আজকে বাংলাদেশে এই যে নাস্তিক-আস্তিক দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থান, আজকে ইসলাম বিদ্বেষী পেজের ছড়াছড়ি, আজকের এই জঙ্গীবাদ এভাবে বিস্তার সকল কিছুর মূলে রয়েছে যার অবদান সেই "সামু ওরফে স্যামহোয়্যার ইন ব্লগ" এর মালিক, প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছে এই অরিল্ড। নরওয়ের চরম ইসলাম বিদ্বেষী যুবক ব্রেইভিক তার ঘৃণাকে পৃথিবীর মানুষকে জানাতে স্বগোত্রীয় ৭৬ জন নারী/ পুরুষকে হত্যা করে। ঐ নরওয়েরই অপর এক যুবক অরিন্ড ক্লকারহগ বাংলাদেশী এক মেয়েকে বিয়ে করে “সামহয়্যার ইন ব্লগ” নামে এক ব্লগ খুলে প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করছে।
উদ্দেশ্য, সে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশীদের ভালবাসে(?), হায় এসবও আপনারা গিলেন প্রতিনিয়ত !
অনেকে জানেন না কিন্তু আমার এই লিখা যারা পড়ছেন, তাদের মাঝে অনলাইনের প্রথম দিকের যারা আছেন, যারা আমাদের সাথে সামুতে লিখালিখি করেছেন তারা জানবে এই বিষয়গুলো। এই "স্যামহোয়্যার ইন ব্লগ" দিয়েই সর্বপ্রথম ইসলামের উপর আঘাত হানা হয়।
জাস্ট একটা প্রমান দিব আজকে, বিডিনিউজে ঢুকে মতামত কলামে ঢুকবেন, সেখানে আবদুস সেলিম নামে একজন মুত্রমনা লিখালিখি করে, সে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক। সেখানে তার একটা লিখা দেখবেন , শিরোনাম - ""বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষ ব্লগারদের বিরুদ্ধে ইসলামপন্থীদের জেহাদ""।
সেখানে সে এক পর্যায়ে লিখে - @@@ প্রথমজন ব্লগিং শুরু করেন ২০০৬ সালে– সামহোয়ার ইন ব্লগের বিশাল সংখ্যক বাঙালি ব্লগার হবার অনেক আগে থেকে। এই ব্লগের সদস্য সংখ্যা এখন কয়েক হাজারেরও বেশি। ২০০৬ সালে বাংলাদেশে ফেসবুক ছিল না, ফলে ব্লগই ছিল ভালো সামাজিক মাধ্যম যার সাহায্যে দেশে ও বিদেশে ছড়িয়ে থাকা সদস্যদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন হত। “সবার জন্যেই এটা একটা নতুন কিছু ছিল,” বলেন, ‘‘একটি উন্মুক্ত জায়গার সন্ধান পেলাম আমরা। যারা ধর্মের সমালোচক ছিল তারা দ্বিধাহীন এবং বাধাহীনভাবে তাদের বক্তব্য প্রকাশের সুযোগ পেল।” @@@
কি বুঝলেন ? ধর্মের সমালোচকরা বাধাহীনভাবে (!!) মত প্রকাশের সুযোগ পায়, কমেন্টে লিঙ্ক দিলাম।
এবং এই সামুর অরিল্ড হচ্ছে "বিক্রয় ডট কম" এর মালিক। ২০১২ সালের, ১৮ই অক্টবার এরা মার্কেটে আসে এবং নিজের সংস্লিস্টতা না দেখানোর জন্য প্রধান নির্বাহী করে নিজ জ্ঞাতি ভাই নিলস হামার কে । জানতে চাইলে পড়ুন সেই দিনের প্রথম কালো।
সুতরাং এই অরিল্ড এর পন্য আপনারা গ্রহন করবেন না বর্জন করবেন এটা আপনারাই ঠিক করবেন, তবে আমি যতটুকু ইসলাম কে জেনেছি তাতে আমি জানি অনলাইনের এই পশু কেনাকাটায় আপনার কোরবানি হবে না।
সবাই ভালো থাকুন, আশা করি পরের বছর থেকে "বঙ্গবাহাদুর" "রুস্তম" "সুলতান" "মহেঞ্জাদারো" বিভিন্ন নামে গরু পাওয়া যাবে।