উদ্দেশ্যমূলকভাবে জুমার নামাযের সময় কাজলশাহ এলাকার ইসকন মন্দির থেকে উচ্চস্বরে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে মুসলমানদের সাথে সংঘর্ষ সৃষ্টি করেছে হিন্দুরা। মন্দিরের ভেতর থেকে তাদের ছোঁড়া ঢিলে মাথা ফেটে গিয়েছে এই পথচারী মুসলমান মহিলার।
আরও হিন্দুতোষণ করো সিলেটবাসীরা, আরো হিন্দুতোষণ কর। পারলে তারাপুরের মতো আরো চা বাগান হিন্দুদের হাতে তুলে দাও, মুসলমানদের ভিটেছাড়া করে হিন্দুদের তেলা মাথায় আরো তেল দাও। হযরত শাহজালালের আদর্শ তোমাদের ভালো লাগে না, গৌরগোবিন্দের শাসনই তোমাদের জন্য উপযুক্ত।
সিলেটে ইসকন মন্দিরে হামলা-সংঘর্ষ, নামাজের সময় কীর্তনের অভিযোগ
নামাজের সময় বাদ্য বাজানো ও কীর্তন গাওয়াকে কেন্দ্র করে সিলেটের কাজলশাহ এলাকায় ইসকন মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে মন্দিরের গেট বন্ধ থাকা আর পুলিশের উপস্থিতির কারণে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো গেছে। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর নগরীর কাজলশাহ এলাকার স্থানীয় কয়েকজন ইসকন মন্দিরে এ হামলা চালায়। পরে ইসকন মন্দির থেকেও স্থানীয়দের লক্ষ্য করে ইট পাকটেকল ছুঁড়া হয়।
এসময় অন্তত ১৫ জনকে আটক করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে পুলিশ। এসময় মসজিদের মাইক ব্যবহার করে হামলার জন্য মুসল্লিদের একত্র করার অভিযোগ আরেকজনকে আটক করা হয়।
পাল্টাপাল্টি ঢিল ছোড়া ও পুলিশের অভিযানের সময় সাবেক নারী কাউন্সিলর সহ আহত হয়েছেন অন্তত ৭ জন। তাঁদের ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হচ্ছেন সাবেক কাউন্সিলর জেবুন্নাহার শিরীন (৫৮), সাজু আক্তার (২৮), বাবুল আহমেদ (৪৩), সাঈদ (২৪), আরিফ (২২), সুমন (১৭) ও রাজেন্দ্র দাশ।
ওসমানী মেডিকেলের চিকিৎসক ডাঃ মনোজ চৌধুরী সিলেটটুডে টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, একজন ছাড়া বাকিরা পুলিশের ছোঁড়া রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সিলেট ইসকন মন্দিরের ইয়ূথ ফোরামের কো-অডির্নেটর দেবর্ষি শ্রীবাস জানান, মন্দিরে শিশুদের চিত্রাংকণ প্রতিযোগিতা ও কীর্তন চলছিল। হঠাৎ বাইরে থেকে ঢিল ছোড়া হলে তারা সবাই আতংকিত হয়ে পড়ে। নামাজের সময় অনুষ্ঠান ও বাজনা বাজানোর অভিযোগে তুলে মন্দির লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয় হয় দাবি করেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নামাজের সময় বাদ্য বাজানোয় কয়েকজন অত্যুৎসাহি মুসল্লি মন্দির লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়ে। মন্দির এলাকা থেকে পাল্টা ঢিল ছুড়া হলে এলাকার মুসল্লিরা একত্রিত হয়ে আবারো হামলা চালায়। এসময় মন্দির থেকেও মুসল্লীদের লক্ষ্য করে ঢিল ছোঁড়া হয়। পাল্টাপাল্টি ঢিল ছোড়ার ঘটনায় এলাকায় আতংক দেখা দেয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়।
কয়েকজন এলাকাবাসী দাবি করেন, নামাজের সময় গান বা কীর্তন বন্ধ রাখার জন্য বার বার দাবি করা হলেও মন্দির কর্তৃপক্ষ সে দাবি মানেনি।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার ফয়সল মাহমুদ জানান, সংঘর্ষ আরো বাড়ারে আগেই পুলিশ উপস্থিত হয়ে এলাকায় ব্যাপক অভিযান চালিয়ে মুসল্লিদের নিরস্ত্র করে। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে নামাজের সময় গান বাজানোর কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।তবে মন্দিরের গেট বন্ধ থাকায় মন্দিরের কোনো ক্ষতি হয়নি।বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।