হিন্দু ধর্মালম্বীরা গরুকে দেবতা মানেন এবং পূজা করেন। যে কারণে ভারতে গরুর জবাই নিষিদ্ধ করেছে। গরু জবাইয়ের কারণে ভারতে অনেকের প্রাণ হারাতে হয়েছে। আর বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ বন্দরে কোরবানীতে নিশ্চিত গরু জবাই করার জন্য অস্থায়ী হাটের ইজারা নেয় হিন্দু গোপাল নন্দী।
এ হাটের গরুর কোরবানীর জন্য কতটুকু সঠিক এ নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বন্দর উপজেলায় সিটি এলাকাসহ মোট ১১টি হাটের বৈধ অনুমতি নেয়া হয়।
১টি হাট দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ ভাবে বসানো হয়। জাতীয়পার্টি নেতা মুরগী শাহআলম এমপি সেলিম ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে সিটি করপোরেশনের এলাকা বন্দর খেয়াঘাট সংলগ্ন ময়মনসিংহ পট্টিতে অবৈধ গরুর হাট বসায়। বাকি বৈধ ১১টি হাট হলো বন্দরের সিটি করপোরেশন এলাকায় জামাল সোপ খেয়া ঘাট সংলগ্ন অস্থায়ী গরুর হাট ইজারাদার বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল, চৌড়াপাড়া খেয়াঘাট সংলগ্ন গরুর হাট ইজারাদার আসাদ মিয়া, উত্তর লক্ষণখোলা গরুর হাট ইজারাদার আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম চৌধুরী, রূপালী আবাসিক এলাকায় গরুর হাট ইজারাদার গোপাল নন্দী, সোনাকান্দা গরুর হাট ইজারাদার আওলাদ হোসেন, নবীগঞ্জ গরুর হাট ইজারাদার শফিউল্লাহ।
ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় বন্দর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন পূর্বপাশে কলাবাগে গরুর হাট ও সমর ক্ষেত্রের পূর্বপাশে গরুর হাট দু’টির ইাজারাদার এম এম কামাল সিকদার, মদনপুর নেহাল সরদারের বাগ গরুর হাট ইজারাদার আমির হোসেন, লাঙ্গলবন্দ চিড়াইপাড়া গরুর হাট ইজারাদার কাজী মোতালেব মেম্বার, মদনপুর হাসেম সাহেবের বাড়ি সংলগ্ন গরুর হাট ইজারাদার আলী আসগর ভ’ইয়া। বন্দরে অবৈধ গরুর হাট সংক্রান্ত বন্দর থানার ওসি আবুল কালম বলেন, বন্দরে মোট ১১টি হাট ইজারা হয়েছে। এর বেশী হলে তা অবৈধ। যদি কেউ অবৈধ হাট বসায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Reference by: News Paper