Pages

প্রসঙ্গ প্রয়াত সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী

সৈয়দ মহসীন আলীকে নিয়ে লৌকিকতা পরিহার করার অনুরোধ জানাচ্ছি, তিনি এতো বিশাল হৃদয়ের রাজনীতিবিদ ছিলেন যে এমন রাজনীতিকের উদাহরণ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হবে৷ তাকে পুঁজি করে রোজী করার ধান্দা দয়া করে বাদ দেন৷
গত ১৪ সেপ্টেম্বর ছিল প্রয়াত সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলীর ১ম মৃত্যু বার্ষিকী, এ উপলক্ষ্যে আজ বাদ আসর কুলাউড়া উত্তরবাজার জামে মসজিদে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়, এর আয়োজন করে ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর ও সাধারণ সম্পাদক রুবেল সহ ওই কমিটির অন্যান্যরা, দুজনই গতকাল রাতে আমাকে দাওয়াত করেছিলেন, আজ জুম্মার নামাজের পর পারিবারিক একটি অনুষ্ঠানে কুলাউড়ার বাহিরে যাওয়ার কথা থাকলেও যায়নি৷ যদি এসে ওই দোয়ায় শরিক হতে না পারি এই শঙ্কায়, নির্ধারিত সময়ে নামাজ, মিলাদ, দোয়ায় অংশ গ্রহণ করি, এতে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আসম কামরুল ইসলাম, আঃলীগ নেতা সানোয়ার আলী ছনু, হোসেন মনসুর, সাবেক ছাত্রনেতা মতলিবসহ ছাত্র নেতৃবৃন্দ.

কিন্তূ মহসীন আলী বলে যারা লৌকিক আদিখ্যেতা দেখান তাদেরকে ওখানে দেখা গেল না৷ শুধু এখানে নয়, তাদেরকে মহসীন আলীর মৃত্যুর পর কুলাউড়া জনমিলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত শোক সভায়ও দেখা যায়নি৷ উনারা তৎকালীন ওসিকে দিয়ে একই সময়ে কুলাউড়া থানায় ওই অনুষ্ঠানের কাউন্টার একটি সভার আয়োজন করে সেখানেই ছিলেন৷ মন্ত্রী মারা যাবার পর রাতারাতি বদলে যাওয়া ওইসব নেতা যখন দেখলেন মহসীন আলীর স্ত্রী এমপি হয়েছেন তখন আবার মহসীন বন্দনায় মেতে ওঠলেন.

কিন্তু দুঃখজনক হলো মহসীন আলীর পরিবারও ওইসব নেতাদের গুরুত্ব দেয়৷ তবে মহসীন আলীর পরিবার কাকে গুরুত্ব দেয় বা না সেটা তাদের বিষয়৷ সৈয়দ মহসীন আলী আমাদের হৃদয়ে আছেন এবং থাকবেন l লৌকিকতায় নয় তাকে স্মরণ করব আন্তরিকতায়.........

Bengal Tiger