আওয়ামী ওলামা লীগ নিয়ে প্রথম আলোতে ফারুক ওয়াসিফ নামক এক সাংবাদিকের লেখা পড়লাম। লেখার শিরোনাম- “অসহিষ্ণুতা: ওলামা লীগ: বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা” http://prothom-alo.com.
ফারুক ওয়াসিফের লেখা পড়ে যেটা বুঝলাম, তারা জোর করে আওয়ামীলীগের গলায় নাস্তিক্যবাদের মালা পড়াতে চায়। এরা নতুন তত্ত্ব শিখাতে চায়, বলতে চায়, “৫২-৭১ বাংলাদেশীরা এক হয়েছিলো অসাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে”। কিন্তু হায়, বঙ্গবন্ধু নিজেও ৭ই মার্চের ভাষণে কথিত অসম্প্রদায়িকতার বুলি উচ্চারণ করেননি, করেছেন “বাংলাদেশকে স্বাধীন করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ’ নামক ঐতিহাসিক ধ্বনি উচ্চারণ।
প্রথম আলোসহ তাবৎ মিডিয়া হঠাৎ করে কোথায় থেকে যে অসাম্প্রদায়িকতার খোলস আওয়ামীলীগের দেহে দিতে চাচ্ছে, আমি বুঝতে পারছি না, যে আওয়ামীলীগের জন্ম ‘মুসলিম লীগ’ হতে। যে বঙ্গবন্ধু ৪৭ এ রায়াটের সময় হিন্দুদের পিপক্ষে ছিলেন, যে বঙ্গবন্ধুর পূর্বপুরুষ ধর্মপ্রচাক হিসেবে এদেশে এসেছিলেন, যে বঙ্গবন্ধুর পূর্বপুরুষ হিন্দুদের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে সর্বসান্ত হয়েছিলেন, সেই বঙ্গবন্ধুর সংগঠনকে আজ অসাম্প্রদায়িকতা খোয়ারে আটকাতে চায় প্রথম আলোর নাস্তিকরা।
ফারুক ওয়াসিফরা আজ মিডিয়ার জোরে ইতিহাস বিকৃত করতে চায়। যে উপজাতিরা ৭১ সালে রাজাকার ছিলো, যে উপজাতিরা কিছুদিন আগে মাত্র অস্ত্র সমর্পন করলো, যে উপজাতি নেতা সন্তু এখনও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার ঘোষণা দেয় সেই উপজাতিদের প্রথম আলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে শক্তি বল চালিয়ে দিতে চায়।
আমি পেপারপত্রিকায় ওলামালীগের বক্তব্যগুলো পড়েছি http://dailynayadiganta.com
যেসানে ভুল কিছু পাায়নি। তারা আওয়ালীগের অঙ্গসংগঠন হলেও তো ধর্মীয় সংগঠন। আওয়ামীলীগের সংগঠণ হলে ইসলামের পক্ষে কথা বলা যাবে না, এর দলিল কোথায় আছে ??? শেখ হাসিনা নিজেই তো নির্বাচনের ওয়াদায় বলেছিলো, “আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় গেলে ইসলাম বিরোধী কোন আইন হবে না”। ওলামালীগ যদি সেটা আওয়ামী সরকারকে মনে করিয়ে দেয় তবে দোষের কিছু দেখি না।
আসলে সরকার নাস্তিক্যবাদী ব্লগার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় ফারুক ওয়াসিফদের পশ্চাতদেশে চুলকানি শুরু হয়ে গেছে।
“হে ফারুক ওয়াসিফ গং ! চিৎকার করে লাভ নেই, ভালো করে কৃমিনাষক খেয়ে নাও, চুলকানি সেরে যাবে”।